সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কথা, ইচ্ছা আর স্খলনের গল্প

কিছু কাজ করার ছিল, কিছু কথা বলার ছিল।
ছিল ইচ্ছা রিমঝিম বৃষ্টিতে হাঁটার।
ক্লান্ত চোখ যখন ঘুমে আক্রান্ত
তখন কথা ছিল ভালবাসার।
জীবন যখন ভারাক্রান্ত; তখন
কথা ছিল আরো ভার বওয়ার।
দিগন্তের শেষ প্রান্তে কথা ছিল হারিয়ে যাওয়ার।
স্তব্ধ নিঃশ্বাস গুনে গুনে রাখার কথা ছিল
অথবা মধ্যরাতের আকাশের সবগুলো তারা।
ইচ্ছা ছিল নিজের প্রতিবিম্ব আর
মাগুর মাছের ঝোলে ফিরে পাওয়া হারানো আমিকে।
মাটির সোদা গন্ধ নেওয়ারও ইচ্ছা ছিল
সাথে কথা ছিল নগ্ন পায়ে হাঁটা তোমার হাত ধরে।
আয়নার মানুষটার সাথে নিজের মিল খোঁজা,
ছিলনা কাপুরুষ অন্ধকারে হাতরে বেড়ানোর গল্প।
অ-কবির কবি হওয়ার মতোই
আমার মানুষ হবার আকাঙ্খা।

২১/০৭/১১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দক্ষিণ মৈশুন্দি কিংবা ভূতের গলিতে মোহাম্মদ শহীদুল হক সাবের সাথে (3)

কোথায় পাব তারে  মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব ৯-৫টা চাকরি করেন। ৫টার একমিনিটও বেশি সময় তিনি অফিসে দিতে চান না,যদিনা কেউ তার বিপরীত পাশের চেয়ারে বসে না থাকে। উঁনার বিভাগের উঁনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় কাজের গতি ও সময় নির্ধারণ উঁনার হাতেই বর্তায়। আমরা বলতে পারি এই ৯-৫টার মধ্যকার এক ঘন্টা সময়ও উঁনি নষ্ট করেন না, বাইরের অনাকাঙ্খিত কেউ আসলে প্রবেশমুখে পিওন আঁটকে দেয়, বলে দেয় স্যার অফিসে নেই। এটা মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব ইচ্ছা করেই করেন; না বলে আমরা বলতে পারি এটা তার অভিজ্ঞতা ও পেশা গত দক্ষতা যে উঁনি উটকো লোক এড়িয়ে চলতে পারেন, আর যেহেতু সরকারি চাকরি তাই এখানে ভোক্তা সন্তুষ্টি বা আম জনতার সাথে সম্পর্ক রাখারও কিছু নেই, প্রাইভেট কোম্পানিতে যেভাবে ক্লায়েন্ট সার্ভিস বা অন্যান্য যোগাযোগ মেনে চলার একটা দায় বর্তায়, সরকারি চাকরিতে এসব থাকে না। প্রতি সোম  আর বুধবার মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে বিভাগীয় প্রধান, সচিবসহ অন্যান্যরা মিটিং করেন রুটিন অনুযায়ী।  মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে তাঁর পিতৃ নিবাসে চলে যান, এখানে উঁনি আর কাজের লোক শাহ আলম ছাড়া কেউ থাকে না, শাহ আলম উঁনার ব্যক্তিগত গাড়ি চালকও বট

ট্রলার

পান চিবাইতে চিবাইতে আব্দুর রহমান বাড়ি ফিরে। দুপুরে খাবারের পর সে নিয়ম করে ঘর থেকে বাইর হয়, তা যতই বৃষ্টি হোক কিংবা ঠাডা পড়া রোদই হোক না কেন, রশিদের দোকান থেকে সে পান কিনে, হালকা জর্দা দেয়া, একটু চুন সাথে সুপারি দেয়া অর্ধেক পান খাবে সে এবং শেষ পিকটা ফেলবে সে তার বাড়ির দরজার পাশের দেয়ালে আর এভাবেই ঐ দেয়ালটার নিচের সম্পূর্ণ অংশ সবসময় লাল হয়ে থাকে। আব্দুর রহমান চল্লিশোর্ধ্ব, কোন কারনে সে এলাকায় গরুর ব্যাপারী হিসেবে পরিচিত, তাকে সবাই আব্দুর রহমান বেপারী ডাকে, তবে লোকে তাকে কেন গরুর ব্যাপারী ভাবে সে আজো ঠাওর করতে পারেনা, কোনদিন ঘোর লাগা এক বর্ষার রাতে সে কলিমুদ্দি ব্যাপারীর সাথে তাস খেলতে খেলতে হয়তো গরুর বেপার নিয়ে দুই একটা কথা বলছিল তাতেই কি লোক তাকে ব্যাপারী নাম দিল নাকি তা নিয়ে সে প্রায়ই ভাবে এবং ভাবতে ভাবতে কোন কুল কিনারা না করতে পেরে মাছের ট্রলার আজো কেন ফিরল না সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। আব্দুর রহমানের আসল কাজ মিয়া বাড়ির আটটা ট্রলার দেখা শোনা করা, এবং এই এলাকায় যে আর কারো দুই একটার বেশি ট্রলার সে বাড়তে দেয়না এইটা জানার কারণে মিয়া বাড়ির বড় মিয়া তাকে বেশ স্নেহ করে আর এই স্নেহ মাঝে মধ্যে বাড়

অনুতাপ- ১

আমার ঘরের জানালায় একদল মেঘ আসে ওরা যাত্রাবিরতী করে জানালার কার্ণিশে কথা বলে,গল্প করে আমাকে শোনায় ওদের পিছনের কথা, কতটুকু পথ পেরিয়ে এল; সে কথা। যুবক মেঘ আমায় ডেকে নিমন্ত্রন দেয়- ওদের সাথে চলবার। আমি গাঢ় হাসি দেই ওদের চলবার,ভেসে যাওয়ার গল্প শুনি আমার কাছে ওরা পঙ্খীরাজে চড়া রাজপুত্তুর। আমি ঘরের দেয়ালে ওদের কাব্য লিখে দেই আরো লিখে দেই- ‘আমিও যেতে চাই মেঘদলের সাথে মেঘকন্যার সাথে,ঐ যুবকটার সাথে’ কিন্তু যেতে পারিনা,পারবনা। আমাকে কে যেন ধরে রাখে মনে হয়,কেউ যেন ডানা দিয়ে আঁটকাচ্ছে আমি বাঁধনহারা হইনা তবুও হয়তো বেসেছি ভাল অদৃশ্য শেকলটাকে কিংবা রাঙা মুখ,সুতি শাড়ির আঁচল।