সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফোবিয়া!

রোদ পোড়া ঐ শহরে কত দিন যাই না তোমার বারান্দায় উঁকি দিয়ে আর কাউকে খুঁজি না বিকালের ঘুমটা এখন হারাম হয় অন্য কোন কাজে। সারাবেলা সারাদিন কিসের পিপাসা তোমার চোখের কাজলের সেই যে নেশা বোতলের লাল পানি হার মেনে যায় ফেন্সিডিলের দাম নাই,ধুর কী যে ছাই! ভালবাসা উফ সে তো আস্ত একটা পেইন সিড়ি বেয়ে উঠতে পারলে করে ফেলব শাইন। তোমার হাত ধরে রিকশায় ঘোরা সন্ধ্যাবেলা প্রতিদিন বাড়িতে ফেরা। মাঝরাতে মোম জ্বালিয়ে কবিতা লেখা সব ছেড়ে এখন সারাবেলা পিসিতে বসা এইরকম কত শত নস্টালজিয়া আমি মরি নাই যে আমি,কেমন ফোবিয়া!

পেশা- ৩

জব্বার মিয়া কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছে তার বউয়ের দিকে পাশের বাড়ির নূরুলের ফটকা ভাই ফারুক কুনজরে তাকায়। কুনজরের সংজ্ঞা অনুযায়ী তার পর্যবেক্ষণ সঠিক। এই নিয়ে জব্বার মিয়া কয়েকবার তার বউকে না করেছে যেন বাইরে কম বের হয়,কল থেকে পানি নেয়ার সময় যাতে গায়ের কাপড়-চোপড় ঠিক থাকে,বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় যাতে দরজা জানালা বন্ধ করে নেয়। বেশকিছুদিন পরের ঘটনা, জব্বার মিয়া বাড়ি ফিরেছে সারাদিন পর রিকশা চালিয়ে। অন্যান্য দিনের মতো ঐ দিন দুপুরে সে বাড়ি ফিরেনি ভাত খেতে। ঘরে ঢুকে সে দেখে বউয়ের হাত ভর্তি চুরি আর কপালে তার চোখে জ্বালা ধরছে এমন একটা টিপ। জব্বার মিয়া সাজগোজের উপলক্ষ জিজ্ঞেস করতেই তার বউয়ের তৈরী জবাব-নূরুল ভাইয়ের বউ আমার লাইগা কিন্যা আনছে। -কেন কেন,তোর লাইগ্যা হঠাৎ তার এতো দরদ উথলায়া পরলো কেন? নূরুল মিয়ার এমনিতেই তার বউয়ের সাজগোজ পছন্দ না। তার কথা হল-রিকশায়ালার বউ তুই কেন নবাবের বেটির মতো সাজবি। সেদিনও ঐ রকমই একটা কথা বলায় তার বউ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল-আমারে দুই ট্যাকা দিয়া চুলের ফিতা কিনন দেয়ার মুরোদ নাই আবার হের জ্বলতাছে! হেডম দেহায়া একটা ফিতাই কিন্যা দাও না। জব্বার মিয়ার হাত নিশপিশ করছিল এতক্ষণ,

পেশা-২

ট্যারা মজনুকে ক্রসফায়ারে মারারর পর প্রেস কনফারেন্স করলাম একটা। প্রেস কনফারেন্সে ট্যারা মজনুর প্রতি সাংবাদিকদের সহানুভূতি দেখে রাগে মাথা গরম হয়ে গেছে। বাসায় ফিরে আমার স্ত্রীকে বললাম জলদি মাথায় পানি ঢালো। শালার মজনু নাকি নিরাপরাধ। আরে এর নামে থানায় কেস আছে থানায় চার-পাঁচটা । আরো কত শত ইনভিসিবল কেস তার স্টেশন আছে নাকি! আমার সাথে বিটলামি! ঢালো মাথায় পানি ঢালো। রাতে ঘুমানোর আগে তিন পেগ ‘লাল পানি’ খায়া তবেই ঘুমালাম। পরদিন সকালে ডাইরেক্ট আইজি স্যারের ফোন-“তুমি তো কাজটা ঠিক করলে না শফিক। ট্যারা মজনুকে মারতে গিয়ে মেরে ফেলেছ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে।” শুনে তো আমার গলা শুকিয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার সংস্থা আর সাংবাদিকগুলা স্যারকেও উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে দিল। স্যারকে এখন ক্যামনে বুঝাই যে ঐ পোলা আসলেই মজনু ছিল। বুঝলাম এখন বেশী কথা বললেই বিপদ। দেখি একটা স্ট্র্যাটেজ নিয়া। বললাম- আসলে স্যার ব্যাপারটা হয়েছে কী আমি স্যার মিস ইনফর্মড হয়েছি। আমার সারা শরীর দিয়ে দরদরিয়ে ঘাম পড়ছে। এইরকম নার্ভাস শুধু ছিলাম জীবনের প্রথম ক্রসফায়ারে। আমার বস কাজটার পর বললেন এখন একটু ড্রিঙ্ক কর শফিক সব ঠিক হয়ে যাবে। সেই থেকে আমা

অভিসন্ধি

আমি বুঝেছিলাম তোমাদের গোপন অভিসন্ধি তাই আর এক মুহূর্তও দাড়াইনি। আমি বুঝেছিলাম তোমাদের চোখের ভাষা তাই সড়ে এসেছি। বাঁধা হতে চাইনি দুজনের মাঝে, করে নিয়েছি আঁড়াল নিজের ঘৃনিত দৃষ্টি। চাইনি পথের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে,পারিনি অন্যায় সহ্য করতে। এক ছুটে চলে এসেছিলাম। ছুটতে ছুটতে ভাবছিলাম -“কী করে পারে মানুষ এমন করতে?” প্রগতিশীল আমি হঠাৎ করে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেলাম । সায়েম চৌধুরী, ২৩/০১/২০১১ সিলেট

পেশা

“ সিগারেট মুখে দিয়া হাঁটলে নিজেরে রাজা রাজা লাগে ”- শহিদ মিয়ার ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে প্রথমেই তাকে প্রশ্ন করেছিলাম আপনি পাবলিক প্লেসে সিগারেট খান কেন? এর উত্তরে সে ওই কথাটি বলল। পাবলিক প্লেস কী জিনিস তা শহিদ মিয়ার বুঝার কথা না। তবে ব্যাপারটি সে অনুধাবন করল এবং তার অনুধাবন শক্তিতে আমি যারপরনাই খুশি। আমি একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক। ফিচার রেডি করার জন্য পথে ঘাটে ছুটতে হয়। কথা বলতে হয় পথে আমার দৃষ্টিতে ‘আজব’ লাগে এমন লোকজনের সাথে। একবার মোটর সাইকেল দিয়ে যাচ্ছি দেখি রাস্তার ধারের বড় ড্রেইনটিতে এক লোক ‘ছোট’ প্রকৃতির ডাক সাড়ছে। মোটর সাইকেল থামিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কাহিনী কী, রাস্তার পাশে যত্রতত্র মূত্র ত্যাগ করছেন কেন? সে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল-“আইর্যেন্ট তো, তাই”। আমি তার ইংরেজি উচ্চারণে মুগ্ধ হলাম। যাক প্রধানমন্ত্রী আর শিক্ষামন্ত্রীর স্বপ্ন বিফল হয়নি। দেশের মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনার নাম কী? –“ জিল্লুর রহমান”। আমি মুখ ফসকে বলে ফেললাম বাহ আপনি তো তাইলে দেশের প্রেসিডেন্ট । তো রাস্তা ঘাটে মুতেন কেন? সে আমার কথায় বিরাট মাইন্ড করে ফেলল। বলল “ওই মিয়া আপ্নে কেডা?” আমার পরিচয়