সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সময়ের স্বাদ

বিকালের হাওয়া আর কৃষ্ণচূড়ার সাথে সবুজ, কিছু কালো স্মৃতি,হলুদ পাখিটার সাথে রাগারাগি এবং গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা দিগন্ত । পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোন লোক অথবা সুগন্ধিযুক্ত রমণী । নাকে আসে না আর । লাগে না চোখে; কিছুই । চায়ের কাপে তেতো স্বাদ, পাকোড়ায় অতি লবন, ঠিক যেন এই সময়টার মতো- বন্ধ্যা,উদ্ভ্রান্ত,অন্ধ অথবা সংজ্ঞাহীন । ০৯/০৫ সিলেট,২০১১

আনিস সাহেবের স্বপ্ন

সরকারি আমলা আনিসুজ্জামান চৌধুরী রাত তিনটায় তাঁর বেডরুমে বসে আছেন। তিনি বিপত্নীক ,তাই আনিস সাহেবের পাশে তাঁর স্ত্রী শুয়ে নেই। স্ত্রী মারা গেল তিন বছর হয়ে এসেছে। বয়স থাকলেও আর দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছে নেই। আনিসুজ্জামান চৌধুরীর বয়স ৫৬, উচ্চপদস্থ আমলা, ভুরি বেশ দশাসই, গ্যালিস দিয়ে প্যান্ট পড়েন তাতে একটু ভারিক্কি ভাব আসে। আনিসুজ্জামান এই মধ্য রাতে বিছানায় বসে হাঁপাচ্ছেন তার পেছনে একটা কারণ আছে। এসি রুমেও তিনি ঘামছেন। কারণ একটাই-তিনি এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছেন। স্বপ্নটা এইরকম-আনিস সাহেব গহিন অরন্যে দৌরাচ্ছেন,পেছনে তার বাল্য বন্ধু কালাম,তার দুই হাতে হাজার হাজার সাপ। আনিস সাহেব জানেন কালাম তাকে ধরতে পারলে ঐ সাপগুলো তাকে কামড়াবে। আনিস সাহেব কিন্তু সাপের ভয়ে হাঁপাচ্ছেন না। হাঁপাচ্ছেন এই কারণে যে তিনি কালামকে স্বপ্ন দেখেছেন। কালাম আনিস সাহেবের নেংটা কালের বন্ধু। এক সাথে বৈশাখ-জৈষ্ঠের ঝড় শেষে আমকুড়ানো,মাঝ নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরা আর স্কুলের লাস্ট বেঞ্চে বসে পুরো ক্লাশকে জ্বালানো এই ছিল তাদের কাজ। কালাম ছাত্র হিসেবে ছিল দারুন তবে পড়া লেখায় তার মন ছিল না বিধায় সব সময় সে শিক্ষকদের হাতে নিগৃহিত হত। আনিস সাহেব