সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দক্ষিণ মৈশুন্দি কিংবা ভূতের গলিতে মোহাম্মদ শহীদুল হক সাবের সাথে (4)

৪। মকবুল কসাইভিটা জামে মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে মকবুল বাড়ির দিকে রওনা দেয়, পথিমধ্যে একটা ভ্যানগাড়ি থেকে ‘শরিফা’ কিনে নেয় নতুন বউয়ের জন্য। মকবুল শেপালির ব্যবহারে মুগ্ধ, যেমন রান্না তেমন তার কন্ঠ। মকবুল ভাত খাইতে খাইতে শেপালিরে বলে একটা গান শুনাতে, শেপালি গান শুনায়- তুমি বন্ধু আর এলেনা বিচ্ছেদের পরে, আমি ছিলাম পা ডুবায়ে মাঝ দরিয়াতে, তুমি ছিলা ভিনদেশি তাই খুইজা পাইলাম না, আমি কান্দি দিবা নিশি , কান্দন থামেনা। মকবুল ভাইবা পায় না এই গান সে কোথায় শুনছে নাকি কোনদিনই শুনে নায়,আজই প্রথম। -বউ তুই ভাল গান গাছ, কই হিকছস? শেপালি লজ্জা পায়, শেপালি ভাবে এই গান তার শাশুড়ি পাশের ঘর থিকা শুনলে তারে কিনা কি বলবে ! সে যেহেতু নতুন বউ তাই তাকে আরও কিছুদিন লজ্জা শরম মাইনা চলতে হবে এবং মাথা থিকা ঘোমটা ফালানো যাবেনা, এমনটাই হুকুম শাশুড়ির। মকবুলের মা কড়া মহিলা, মকবুলের বাপ মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানকে উনি মানুষ বানাইছেন, মেয়ে এখন বিয়া কইরা স্বামী সোহাগি, ছেলেরে মাত্র বিয়া করাইছেন, বউ মাশাল্লাহ সুন্দরি, গরিব ঘরের, তাতে আরো ভাল হইছে। কথা শুনে, গোলামের স্বভাব একদিকে ভাল, তারা আদব ল্যাহাজ মাইনা চল

জয়িষ্ণু

আমি কি এই  'আমি' হতে চেয়েছিলাম, নাকি চেয়েছিলাম খোলা আকাশ হতে কিংবা চানাচুরওয়ালা, নিদেনপক্ষে জয়িষ্ণু হতে। জয়িষ্ণু পাল, ক্লাস ফাইভ, একা একা স্কুলে আসত, পাঁচিল টপকাত,স্কুল পালাত। আমি পারিনি কোনদিন জয়িষ্ণু হতে, জয়িষ্ণু পারেনি হতে আমার মত। টিফিনে হাডুডু, বৃষ্টিতে ফুটবল, জয়িষ্ণু সব পারত। আমি বড়জোর বারান্দায় দাঁড়াতাম দু দন্ড। আমার পা কাঁপত, আমার বুক কাঁপত। জয়িষ্ণু ডাকত, বন্ধুরা ডাকত, আমি যাইনি,আমি পারিনি। জয়িষ্ণু অংক পারত, ভাল ইংরেজি। 'চল দৌড় লাগাই, স্কুল পলাই', আমি না করতাম, আমার বুক কাঁপত আমার হাত কাঁপত, জয়িষ্ণু স্বাধীন ছিল। আমি চাকুরে, আমি পাথুরে। আমি পারিনি আমাকে ছাড়াতে।