সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একটি গর্ভপাত ও একটি আত্মহত্যা

গভীর রাত পারি দিলাম চুপ করে মনের গুপ্ত অপরাধবোধ চাপা দিয়ে। ভোর হল,পাখির কলকাকলিতে পূর্ণ পৃথিবী। আমি চোরের মত চুপ করে প্রবেশ করলাম কবরস্থানে। ছোট্ট একটি অদৃশ্য কবর। ভেতরে গুটি শুটি মেরে শুয়ে আছে একটি শিশু।বয়স মাত্র ২ মাস ৯ দিন। আসলে ওর ভ্রুণটার বয়সই ঐটা। জিজ্ঞেস করলাম -বাবা,কিছু খাবে? -“তুমি আমাকে রেখে চলে যাও কেন বারবার?” আমি শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম । আমার তো কিছু বলার ভাষা নেই । যে কয়টা ভাষায় কথা বলতে পারি সবগুলো আজ আমাকে ছেড়ে পালাচ্ছে । আমি আর কোনদিনই কথা বলতে পারব না । কবরের ফলকটা আবারও এক পলক দেখে নিলাম- নামঃঅজ্ঞাত, পিতাঃ অজ্ঞাত, মাতাঃঅজ্ঞাত। জন্ম-২০/১০/২০০০,মৃত্যু-২৮/১২/২০০০। আমার বুক আবারো কেঁপে উঠল। চোখ বেঁয়ে নামল অশ্রু। আমার অপরাধ আমি এই ভ্রুণটাকে হত্যা করেছি । আমার অপরাধ আমি সম্মতি দিয়েছি ভ্রুণটাকে হত্যা করতে। আমার এবং আমার প্রেমিকার ভালবাসার ফল। আমাদের মিলনে ফলে যে ভ্রুণটির জন্ম তাকে আমরা মেরে ফেলেছি। আমার জন্যই আমার প্রেমিকা গর্ভপাত করিয়েছে। আমার জন্যই ও এত কষ্ট সয়েছে। আমার সামাজিক অবস্থান শক্ত নয়। আমার বাবুটাকে খাওয়ানোর টাকা নেই। আরে আমিইতো এখনো বাবার টাকায় চলি। তবে সে

পথের খোঁজ

অনেক বছর যাবত খুঁজে বেরাচ্ছি একটি পথ। পথে থাকবে না কোন কাঁটা আর তীক্ষ্ণ কঙ্কর, চারপাশে বয়ে যাবে স্বাধীনতার বাতাস আর হালকা মিষ্টি গন্ধ। পথের ধারে ফুটবে গোলাপ,হাস্নাহেনা আর বেলি ফুল, মাধবি লতার সুবাসে ভরে উঠবে সমস্ত পৃথিবী। আকাশে ডানা মেলে উড়ে যাবে গাঙচিল। পথের পথিকেরা থাকবে অকুতোভয় আর নিঃসঙ্ক চিত্তে হেঁটে বেড়াবে। সমুদ্রের মাছেরা যেমন চঞ্চল চিত্তে ঘুরে বেড়ায় - ঠিক তেমনি ঐ পথটার পথিকেরা হাঁটবে। আমার সকল চিন্তা আজ ঐ পথকে কেন্দ্র করে। শ্রেনীহীন পথ,বৈষম্যহীন পথ। যে পথে কাঁদেনা অসহায় পিতৃ-মাতৃহীন শিশু আর জোর করে কেঊ কেড়ে নেয় না কারো অধিকার । [উৎসর্গ- আমার প্রাণপ্রিয় কমরেড, আমার ভাই সুদীপ্ত দা কে]