সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দৃষ্টি এবং ইচ্ছের দেবতার প্রতি প্রশ্ন

যখন দৃষ্টি সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর যেতে চায় তখন কেন জানি আচমকা চোখ ফিরিয়ে নেই। আমার দৃষ্টি কী ক্ষীণ? আমার দৃষ্টি কী ভীরূ? নাকি আমার ইচ্ছের দেবতা আমার দৃষ্টিকে আর যেতে দেয় না? ইচ্ছের দেবতা কী আর সাহস পায় না? প্রগাঢ় লজ্জায় দেবতা আমায় বলে “দৃষ্টিরও একটা সীমা মানতে হয়,কখনোই দৃষ্টিকে সীমাহীন হতে দেব না”। এই দেবতার নাম নাকি ইচ্ছে দেবতা! সমাজের সুশীল সমাজের বাইরের মানুষরা তাই গালি দেয়- উদ্দেশ্য এই ‘ইচ্ছে দেবতা’,আর সুশীলরা দার্শনিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন! ইচ্ছের দেবতা কে আমার প্রশ্ন-“ তোমায় দেবতা বানালো কে?আমি না আমরা? নাকি মহামতি ঈশ্বর? নাকি আমাদের সমাজ তোমায় পঙ্গু করলো”?

সঙ্কট এবং স্বাধীনতা

বৈশাখ মাস,চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি।সাবের চাচা এসে বললেন-“বাবা,হুনলাম ঢাকায় নাকি গোন্ডগোল হইতাছে?” -জ্বী চাচা,অবস্থা বেশী ভালা মনে হয়না। “বাবা আমার পোলাডা তো ঢাকায় কাজ করে,ওর একটু খবর আইনা দিতে পারবা”? -চাচা,আসলে আমি তো কোনদিন ঢাকায় যাই নাই,আপনে বরং আজিজ ভাইরে কন।উনার তো অনেক জানাশুনা। এই বলে আমি চা’টা শেষ না করেই বাড়ির পথে ছুটলাম। রাতে দেখি বাবা রেডিও নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। আমাকে দেখে বললেন-“দেখতো খবরটা ধরা যায় নাকি”। আমি টিউন করেই গমগমে আওয়াজ শুনতে পেলাম। কয়েকটি জায়গায় আগুন দেয়ার খবর শুনে বাবা বললেন-“অবস্থা তো বেশী ভালা ঠেকে না”। আমি কিছু না বলে উঠে গেলাম। পরদিন বিকেলে শহিদ ভাইয়ের সাথে বাজারে দেখা,বললেন-“বেডা তোরে তো দেহাই যায় না,আস্তাদিন কী ঘরেই থাহস নাকি”? আমি জবাব না দিয়ে মুচকি হাসলাম,জিজ্ঞেস করলাম-“চাচী আম্মা ভাল আছেন”? শহিদ ভাই মাটির নিচে তাকিয়ে বললেন-“মার শরীরডা ভাল না”। -গঞ্জে গিয়া ঔষধ নিয়া আও,মইনুদ্দি কবিরাজের ঔষধে কামে দেয়। “হুন, তোর লগে কথা আসিলো”। -কও,কী কইবা। “অহন না, সন্ধ্যা নামলে নামায পইড়া কাশেমগো বৈঠক খানায় আইস”। মাগরিবের নামায পড়ে কাশেম ভাইদের বৈঠক খানায় গেলাম। গিয়ে দেখি

ক্লান্তিবোধ-ভালবাসার অপ্রিয় সত্য

অলস পৃথিবীর পথে নিরন্তর ছুঁটে চলা আর তোমার অভিশাপ বয়ে বেরানো । অনুরাগ-বিরাগের খেলায় আমি ক্লান্ত আর তুমি আরও বেশী প্রাণোচ্ছল। নিন্দুকের মুখ বাঁকানো হাসি আর অবিরাম সমালোচনা আমায় ক্লান্ত করেনা। রাজা-উজিরদের অবজ্ঞাও আমায় ক্লান্ত করেনা। আমায় ক্লান্ত করে তোমার অভিমান। আমায় ক্লান্ত করে তোমার অভিমান আর চোখ বুঁজে থাকা। আমায় ক্লান্ত করে তোমার বিমর্ষ মুখ আর একরাশ অভিযোগ। যত পারি ভালবাসি,যত পারি ছুঁইয়ে যাই আমার নান্দনিকতা। তোমায় প্রতিনিয়ত অনুভব করাই আমার পারঙ্গমতা। তোমার শীতল চোখ আর অবুঝ মন আমায় তাতিয়ে বেরায়। যখন নিবিড় করি তখন হাসতে থাক , আর যখন আকাশ মেঘে ঢাকে তখন ভুলে যাও আকাশে রোদ উঠেছিল। যখন অবিরত আমার ঠোঁট দুটো তোমায় ছুঁয়ে যায় তখন তো বলোনা-“তুমি একটা প্রতারক”।

তারুণ্যের অধঃপতন

নিকষ আঁধার আর জমাট উত্তেজনা। ক্রুদ্ধ আকাশ আর থমথমে পৃথিবী। শূণ্য মন আর জয় করার ভাবনায়, বেরিয়ে পরেছে যুবা,দেখছে ধরণী। অবাক চোখ আর কোমল মন, সবখানেতে আগ্রহী চাহনি, ভীষন কলরব চারপাশে আর দুর্লভ শান্তি। অবলোকন চারপাশে,নিষ্ঠুরতার ছাঁয়া। সবখানেতে আগুন জ্বলে আর দুর্লভ মানবতা। ধীরে ধীরে কোমল মন হয়ে ওঠে কঠিন, যেখানে বেঁচে থাকাই হয়ে ওঠে সঙ্গিঁন। রক্তচক্ষুর দানবেরা ছড়িয়ে চারপাশে, ভাল লোকেরা পৃথিবীতে খুবই কম আসে। ধরণীর অভিজ্ঞতা আর সবার শিক্ষায় মানুষ পশু হয় মানুষের ছাঁয়ায়।

স্বপ্ন বিলাস

ভালবাসার নান্দনিকতা আমায় গ্রাস করেছে। অকাল প্রয়াণের পথে আর বেশী বাকি নেই। চোখদুটো জ্বালা করে মাঝেমাঝে, স্বপ্ন হারানোর কষ্ট কী কম! ভাঙচুর হচ্ছে মনে অবিরত। আজ লাল তো কাল নীল। মাঝেমাঝে মনে হয়-শালিখের রঙটা লাল হলোনা কেন? আবার মনে হয় একটা উড়ন্ত গাঙচিল ধরে পুষব। তবে ঐটা কোন খাঁচায় বন্দী থাকবে না। জলদস্যুদের মতো করে কাঁধে কাঁধে বয়ে বেরাব বিরাট বড় একটা গাঙচিল। মাঝেমাঝে এটাও মনে হয়-রোদ ধরে ধরে যদি জমানো যেত? অবাস্তব হলেও এটা ইচ্ছা ,নাকি? দিন-রাত হাজারটা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি বললে ভুল হবে,আসলে স্বপ্ন বুনি। মাকড়শা যেমন জাল বুনে তেমনি আমি স্বপ্ন বুনি। দিন-রাত বুনতেই থাকি আর ছিড়তেই থাকি। আমার স্বপ্ন বোনা যেমন কখনো শেষ হবেনা তেমনি তোমাকে ভালবাসাও শেষ হবেনা। তোমার জন্যই স্বপ্ন বুনি, তোমার জন্যই স্বপ্ন ভাঙ্গিঁ। আমার সব স্বপ্ন ঘিরেই তোমার ডাকাডাকি।

একশ পঞ্চাশটি ভূঁত বা তারও বেশী

একশ পঞ্চাশটি কালো ভুতের জন্য আজ পনের কোটি ভাল মানুষ প্রতিদিন আগুনে পুঁড়ছে। একশ পঞ্চাশটি কালো ভুতের জন্য আজ পনের কোটি ভাল মানুষ নিজের ভাগ্যকে দোষ দিচ্ছে। আজ ঐ একশ পঞ্চাশ সংখ্যাটি রূপক, এর আঁড়ালে আরও পনেরশ ভুত রয়েছে। পনেরশ ভুত? হতে পারে এরও বেশী! কিন্তু কম নয়। আজ ঐ রূপকধর্মী ভুত বা হায়েনাদের হাতে পনের কোটি ভাল মানুষ জিম্মি। প্রতিনিয়ত তারা অসহায় বোধ করে। আর মৃতপ্রায় পশুর মতো করে নিজের ভাগ্যকে অনবরত দোষ দেয়। একশ পঞ্চাশটি কালো ভুত বা হলুদ হায়েনা, যাদের দুই হাত রক্তে রঞ্জিত। ঐ হাত যুগল হাজার বছর সাবান দিয়ে ধুলেও রক্তের দাগ মিটবে না। আজ ঐ হায়েনা বা কালো ভুতের জন্য সাদা কিছু মানুষ যারা যৌবনে পা দিয়েছে তারা অনবরত হোঁচট খাচ্ছে। তাদের ছাঁদ থেকে ফেলে দেয়া হচ্ছে, কখনো বা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ নামক স্থান হতে অপমান,অপদস্থ করা হচ্ছে, কখন বা দোতলা বা চারতলা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আর আমরা ঘরে বসে ‘আহা’,‘উঁহু’ শব্দ করছি। হ্যাঁ আমরা ভালো মানুষেরাই ঐ কাল ভুতগুলোকে সিংহাসনে বসাই। আর বলি “জাঁহাপনা আগে কার রক্ত পান করবেন আমার না আমার ভাইয়ের?” জাঁহাপনা যদি বলে “আগে তোমার ভাইয়ের”, তাহলে আমরা একে একে আমাদের ভাইদের