সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অতীত

হয়তো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ুয়া কমরেডটি  সিভির ফাইল নিয়ে ঘুরতে  থমকে দাঁড়াবে কর্পোরেটের বেশ্যালয়ে মাল্টিন্যাশনাল কফি'র কাপে চুমুক দিতে দিতে ১৫ তলার জানালা দি য়ে তাকাবে হয়তো তখন সেই রাজপথ দিয়ে অতিক্রম করবে পুরনো কমরেডগণ, দাবি জানিয়ে যাবে অধিকারের। তখন সাউন্ড প্রুফ ঘরে কফির কাপে চুমুক দেয়া সাবেক কমরেড ভাববে- 'জীবন অনেক শান্তির, এখানেই শান্তি, এখানেই জান্নাত'।

একা

ঐ দূরের পথ যতই নির্জন হোক না কেন – পাড়ি দিতে হবে একলাই।  হ্যাঁ,একলাই। এই মানচিত্রে তুমি একলাই,এই জনপদে তুমি একলাই। তোমার চারপাশে হয়তো নিরব কোলাহল, শশব্যস্ত হাহাকার। কিন্তু তুমি একলাই, হ্যাঁ একলাই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমরা একা !

ইবাদত

আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লালল্লাহ'র সাথে মিশে যায় উলু ধ্বণি, কবরের ছিমছাম,ভয়াল,পিনপতন নিরবতা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। কেউ হয়তো পশ্চিমে জায়নামায বিছায় শাখা-সিঁদুর পড়া কেউ তুলসী তলায় ঈশ্বর পায়। ভোরে ঢংঢং ঘন্টায় কেঁপে ওঠে ক্রুশের ঘর, সিপারা আর আমপারার শব্দও তো সেই সাথে মেশে। লাকুম দ্বীন-ঊ কুম ওয়ালি আ দ্বীন বলে ওঠার আগে কেন বলে অবিশ্বাসীরা আগুনে পতিত হোক ! বালক হেসে খেলে বড় হয় শশ্রু মন্ডিত পিতাকে অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করে এখানে কি পয়গম্বর আসেননি? শূন্য চোখে কে যেন তখন কী খোঁজে । বারবার কানে বাঁজে -"যদি আল্লাহ'র সন্ধান চাওগো প্রেম রাখিও অন্তরের ভেতর"।

অভিনয়

তারপর আমি দিনশেষে চুপচাপ মেঘের কোলে মাথা পাতি। আমায় পর্বত দেবতা দেয় একান্নটি চূড়া। আমি মেঘমল্লার, আমি দৈপায়ন, আমি দেবনাথ, আমায় ছুয়ে শুদ্ধ কর নিজেকে। আর কর একটু অভিনয় নয়তো, ভালবাসা হবে একপাক্ষিক।

উৎসুক

তোমার পিঠে কী তিল আছে? কিংবা বুকে? আমার মানচিত্রে জলাভূমি, তোমার কী আছে শুনি? আমার বাড়ির উঠোনে প্রশান্ত মহাসাগর, তোমার মধুমতি, বলোনা মেয়ে, তোমার কী আছে শুনি?

কর্নেল

কর্ণেল তোমার চিঠি আজও পড়া হলনা, হলনা সমষ্টি হতে শেখা, তোমার কমরেড রাষ্ট্রমন্ত্রী, ভুলেছে অগ্নিশিখা। ১৯১৭ আসেনাই, রাশা'র 'বসন্ত' এই বাংলায় আসবে বলে, কর্ণেল তোমার সাইলেন্সারবিহীন জীপ আমি আজও চালাতে পারলামনা।

নপুংসক

মিথ্যা কিছুর পিছনে ছুটে চলা, ধর্মনিরপেক্ষতা,অসাম্প্রদায়িকতা,মানবিকতা কিংবা জাতীয়তাবাদ ! আর কত মাইল দৌঁড়ালে বলবেঃ থামো। হয়তো বটতলার ঐ ফেরিওয়ালাটা নিতে চেয়েছিল বি শ্রাম অজ্ঞাত নামা কেউ বাড়ায়নি হাতও। নিশানের লক্ষ্যে নির্ভুল সীসার খোলস বারুদ তো আগেই পুঁড়ে ছারখার নম্রতার কী ভন্ড চেহারায় ভুলে গেছে নিজের ভয়াল রক্তচক্ষু যা ঝলসে দিত বাহু অজস্র প্রেতাত্মার। আরো কিছুকাল সে বয়ে বেড়ায় ভাই হারানোর লাশ অল্প কিছু সময়ের জন্য কিংবা বহুকালের জন্যই নিমগ্ন থাকে লাশ শোকায়। তারপর , এভাবেই কেটে যায় বটতলায় ফেরি করে বেড়ানো এই গঞ্জ, সেই গঞ্জের মানব সন্তানেরা বিনে পয়সায় খেলা দেখে বাড়ি ফিরে যায় আত্মতুষ্টি নিয়ে, হয়তোবা প্রস্তুতি  নেয় স্ত্রী সঙ্গমের।

চূড়া

(এইটা হইতে পারে একটা বড় গল্পের প্রথম অংশ অথবা এই গল্প এইখানেই শেষ, মুডের উপর ডিপেন্ড করবে এইটা ইলাস্টিক হবে কি হবেনা) তখনো ভোর হতে অনেক বাকি। আমার সাথের সবাই শুয়ে পড়েছে। কেউ কেউ হয়তো নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করে যাচ্ছে,সারাদিনের অনেক না বলা কথা বলে যাচ্ছে এক নিঃশ্বাসে। আমি হারিকেনের আলোটা একটু কমিয়ে আনি, সারারাতে স্বম্বল অল্প কিছু কেরোসিন। কাল সকালে কম করে হলেও বিশ-পঁচিশ মাইল এই পাহাড়ি এলাকার ঢাল বেয়ে কেউ একটু কেরোসিন নিয়ে আসবে। আমাদের দলে সবাই তরুণ, আমিও তরুণ, । দলে আমি সবার বড়। আমার এই শরীরটার বয়স এখন বিয়াল্লিশ,মনে হয়তো বাকী ছেলেদের মত উচ্ছ্বাস নেই তবে যেকোন খেলায়, ধরি সেটা ফুটবল, আমাকে ওরা এখনো হিসেব করে চলে। আমি চুপচাপ ডায়রি লিখে যাচ্ছি, আর ছেলেরা ফিসফাস করেই যাচ্ছে। আমি ওদের ঘুমিয়ে পড়তে বলে আলোটা একেবারেই কমিয়ে আনি,হাতের কাছের ধাতব বস্তুটা আরো কাছে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই। হাফিজ আমাকে সকালে ডেকে দেয়,আমি কিছুটা লজ্জা পাই। সাধারণত সবার আগে আমিই উঠি। কিছুটা দূরে দেখা যাচ্ছে পাকির ঝাঁক, আলোর তীব্রতা নেই,চারপাশটা কুয়াশার চাদরে ঢাকা। আমরা হাত পা ঝাড়া দিয়ে এগুই। সবাই ক্লান্ত তবু থামতে জা