সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একজন কর্ণেল তাহের



কল্পনা করি তোমার কাছে গেরিলা ট্রেনিং নিচ্ছি।
কল্পনা করি জাসদের কোন গোপন মিটিংয়ে তোমার নির্দেশ মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনছি।
শুধু এটুকুই কল্পনা করতে পারি না যে তুমি আর নেই।
তোমার অনুপস্থিতি আমায় পুড়ায় অহর্নিশ।

তোমার ক্রাচটি ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে।
১১ নং সেক্টরে গলফ স্টিক আর সাইলেন্সারবিহীন জীপে তুমি-
আমার চোখ কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে ৭১ এ।
অনুভব করি সেই মুহূর্ত যে সময় শত্রুর গোলা এসে পড়ে তোমার পায়ে।

তুমিই সেই ক্রাচের কর্ণেল যে কিনা পৃথিবী সমান স্বপ্ন এঁকেছিল এই বাংলার বুকে।
যে বলেছিল-“নিশঃঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় কিছু নাই”।
যে কিনা ফাঁসির দড়ি ছুঁয়ে কবিতা আবৃত্তি করেছিল-
“জন্মেছি সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে কাঁপিয়েই গেলাম...
পৃথিবী অবশেষে এবারের মত বিদায় নিলাম”।

তুমি বাংলার মাটিতে জন্মেছিলে কাস্ট্রো হয়ে-
একজন চে’র জন্য ,একজন রাউলের জন্য তোমার আশা অপূর্ণ রয়ে গেল।
স্মরণ করি তোমায় কৃতজ্ঞচিত্তে,
যে কিনা তৈরী করেছিল হাজারো বিপ্লবী।
বাংলাদেশের সিপাহীদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবার।
তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছি সমান মর্যাদা পাবার।
মরে গিয়েও আজও তুমি বাংলাদেশের তরুনদের স্বপ্ন দেখাচ্ছ।
একদিন এই বাংলাদেশের শ্রেণীবৈষম্য দূর হবেই।
তোমার চেতনায় জ্বলে উঠবে বাংলার কৃষক আর নিপীরিত জনগন।
জেগে উঠবে ঘুমন্ত বিপ্লব !
আর একজন তাহের কাঁধে তুলে নিবে জাতির সকল বোঝা আর সফল হবে বিপ্লব।
থামবে হায়েনার হাসি আর ভীরুদের তাচ্ছিল্য।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেদখল

আমাগো বাড়ি দখল হয়া গেছে, আমগো বাড়ির চারপাশে এখন বাউন্ডারি বয়া গেছে। আমগো কইছিল হুমুন্দির পুত-'বাড়ি ছাড় নইলে লাস ফালায় দিমু' আমরা ক্যাচাল করি নাইকা, আমরা কইছিলাম- সময় দেন, আপসেই সইড়া যামু। আমগো সময় দেই নাইকা, আমরা আসমানের নিচে হুই, আমগো কেউ কয় আমরা ছিন্নমূল, কেউ কয় আবে বস্তিত গিয়া থাক,ঐ। আমরা মাথা নাড়াই, ভেজালের কারবার করিনা, আমার পোলা স্মাগলার, নইলে কিলার-শ্যুটার হইব, ভয় পায়না। আমগো বাড়ি দখল কইরা দেন, আমি আপনার শত্রুরে মাইরা দিমু, আমগো পোলাপাইন পড়া লেহা করব, ওগো মানুস বানামু।

দৃষ্টি এবং ইচ্ছের দেবতার প্রতি প্রশ্ন

যখন দৃষ্টি সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর যেতে চায় তখন কেন জানি আচমকা চোখ ফিরিয়ে নেই। আমার দৃষ্টি কী ক্ষীণ? আমার দৃষ্টি কী ভীরূ? নাকি আমার ইচ্ছের দেবতা আমার দৃষ্টিকে আর যেতে দেয় না? ইচ্ছের দেবতা কী আর সাহস পায় না? প্রগাঢ় লজ্জায় দেবতা আমায় বলে “দৃষ্টিরও একটা সীমা মানতে হয়,কখনোই দৃষ্টিকে সীমাহীন হতে দেব না”। এই দেবতার নাম নাকি ইচ্ছে দেবতা! সমাজের সুশীল সমাজের বাইরের মানুষরা তাই গালি দেয়- উদ্দেশ্য এই ‘ইচ্ছে দেবতা’,আর সুশীলরা দার্শনিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন! ইচ্ছের দেবতা কে আমার প্রশ্ন-“ তোমায় দেবতা বানালো কে?আমি না আমরা? নাকি মহামতি ঈশ্বর? নাকি আমাদের সমাজ তোমায় পঙ্গু করলো”?

ট্রলার

পান চিবাইতে চিবাইতে আব্দুর রহমান বাড়ি ফিরে। দুপুরে খাবারের পর সে নিয়ম করে ঘর থেকে বাইর হয়, তা যতই বৃষ্টি হোক কিংবা ঠাডা পড়া রোদই হোক না কেন, রশিদের দোকান থেকে সে পান কিনে, হালকা জর্দা দেয়া, একটু চুন সাথে সুপারি দেয়া অর্ধেক পান খাবে সে এবং শেষ পিকটা ফেলবে সে তার বাড়ির দরজার পাশের দেয়ালে আর এভাবেই ঐ দেয়ালটার নিচের সম্পূর্ণ অংশ সবসময় লাল হয়ে থাকে। আব্দুর রহমান চল্লিশোর্ধ্ব, কোন কারনে সে এলাকায় গরুর ব্যাপারী হিসেবে পরিচিত, তাকে সবাই আব্দুর রহমান বেপারী ডাকে, তবে লোকে তাকে কেন গরুর ব্যাপারী ভাবে সে আজো ঠাওর করতে পারেনা, কোনদিন ঘোর লাগা এক বর্ষার রাতে সে কলিমুদ্দি ব্যাপারীর সাথে তাস খেলতে খেলতে হয়তো গরুর বেপার নিয়ে দুই একটা কথা বলছিল তাতেই কি লোক তাকে ব্যাপারী নাম দিল নাকি তা নিয়ে সে প্রায়ই ভাবে এবং ভাবতে ভাবতে কোন কুল কিনারা না করতে পেরে মাছের ট্রলার আজো কেন ফিরল না সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। আব্দুর রহমানের আসল কাজ মিয়া বাড়ির আটটা ট্রলার দেখা শোনা করা, এবং এই এলাকায় যে আর কারো দুই একটার বেশি ট্রলার সে বাড়তে দেয়না এইটা জানার কারণে মিয়া বাড়ির বড় মিয়া তাকে বেশ স্নেহ করে আর এই স্নেহ মাঝে মধ্যে বাড়...