সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একশ পঞ্চাশটি ভূঁত বা তারও বেশী

একশ পঞ্চাশটি কালো ভুতের জন্য আজ পনের কোটি ভাল মানুষ প্রতিদিন আগুনে পুঁড়ছে।
একশ পঞ্চাশটি কালো ভুতের জন্য আজ পনের কোটি ভাল মানুষ নিজের ভাগ্যকে দোষ দিচ্ছে।
আজ ঐ একশ পঞ্চাশ সংখ্যাটি রূপক,
এর আঁড়ালে আরও পনেরশ ভুত রয়েছে।
পনেরশ ভুত?
হতে পারে এরও বেশী! কিন্তু কম নয়।
আজ ঐ রূপকধর্মী ভুত বা হায়েনাদের হাতে পনের কোটি ভাল মানুষ জিম্মি।
প্রতিনিয়ত তারা অসহায় বোধ করে।
আর মৃতপ্রায় পশুর মতো করে নিজের ভাগ্যকে অনবরত দোষ দেয়।

একশ পঞ্চাশটি কালো ভুত বা হলুদ হায়েনা,
যাদের দুই হাত রক্তে রঞ্জিত।
ঐ হাত যুগল হাজার বছর সাবান দিয়ে ধুলেও রক্তের দাগ মিটবে না।
আজ ঐ হায়েনা বা কালো ভুতের জন্য সাদা কিছু মানুষ যারা যৌবনে পা দিয়েছে তারা অনবরত হোঁচট খাচ্ছে।
তাদের ছাঁদ থেকে ফেলে দেয়া হচ্ছে,
কখনো বা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ নামক স্থান হতে অপমান,অপদস্থ করা হচ্ছে,
কখন বা দোতলা বা চারতলা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
আর আমরা ঘরে বসে ‘আহা’,‘উঁহু’ শব্দ করছি।

হ্যাঁ আমরা ভালো মানুষেরাই ঐ কাল ভুতগুলোকে সিংহাসনে বসাই।
আর বলি “জাঁহাপনা আগে কার রক্ত পান করবেন আমার না আমার ভাইয়ের?”
জাঁহাপনা যদি বলে “আগে তোমার ভাইয়ের”, তাহলে আমরা একে একে আমাদের ভাইদের রক্ত গ্লাসে ঢেলে তাদের দেই।
আর মনে মনে এই বলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই-“যাক আমার রক্ত তো খায়নি,খেয়েছে আমার ভাইয়ের”।

আমাদের কী উচিত এর পরেও ভালো মানুষ সেঁজে ঘরে বসে থাকা?
জবাব সবার মনে।
আসুন জবাব মুখে না দিয়ে কাজে প্রকাশ করি তাতে আপনারই মঙ্গঁল।

[ উৎসর্গ তাদের যারা দেশের ওই কালো ভুতগুলোকে বোতলে বন্দী করতে চায় ]

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দক্ষিণ মৈশুন্দি কিংবা ভূতের গলিতে মোহাম্মদ শহীদুল হক সাবের সাথে (3)

কোথায় পাব তারে  মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব ৯-৫টা চাকরি করেন। ৫টার একমিনিটও বেশি সময় তিনি অফিসে দিতে চান না,যদিনা কেউ তার বিপরীত পাশের চেয়ারে বসে না থাকে। উঁনার বিভাগের উঁনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় কাজের গতি ও সময় নির্ধারণ উঁনার হাতেই বর্তায়। আমরা বলতে পারি এই ৯-৫টার মধ্যকার এক ঘন্টা সময়ও উঁনি নষ্ট করেন না, বাইরের অনাকাঙ্খিত কেউ আসলে প্রবেশমুখে পিওন আঁটকে দেয়, বলে দেয় স্যার অফিসে নেই। এটা মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব ইচ্ছা করেই করেন; না বলে আমরা বলতে পারি এটা তার অভিজ্ঞতা ও পেশা গত দক্ষতা যে উঁনি উটকো লোক এড়িয়ে চলতে পারেন, আর যেহেতু সরকারি চাকরি তাই এখানে ভোক্তা সন্তুষ্টি বা আম জনতার সাথে সম্পর্ক রাখারও কিছু নেই, প্রাইভেট কোম্পানিতে যেভাবে ক্লায়েন্ট সার্ভিস বা অন্যান্য যোগাযোগ মেনে চলার একটা দায় বর্তায়, সরকারি চাকরিতে এসব থাকে না। প্রতি সোম  আর বুধবার মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে বিভাগীয় প্রধান, সচিবসহ অন্যান্যরা মিটিং করেন রুটিন অনুযায়ী।  মোহাম্মদ শহীদুল হক সাব সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে তাঁর পিতৃ নিবাসে চলে যান, এখানে উঁনি আর কাজের লোক শাহ আলম ছাড়া কেউ থাকে না, শাহ আলম উঁনার ব্যক্তিগত গাড়ি চালকও বট

ট্রলার

পান চিবাইতে চিবাইতে আব্দুর রহমান বাড়ি ফিরে। দুপুরে খাবারের পর সে নিয়ম করে ঘর থেকে বাইর হয়, তা যতই বৃষ্টি হোক কিংবা ঠাডা পড়া রোদই হোক না কেন, রশিদের দোকান থেকে সে পান কিনে, হালকা জর্দা দেয়া, একটু চুন সাথে সুপারি দেয়া অর্ধেক পান খাবে সে এবং শেষ পিকটা ফেলবে সে তার বাড়ির দরজার পাশের দেয়ালে আর এভাবেই ঐ দেয়ালটার নিচের সম্পূর্ণ অংশ সবসময় লাল হয়ে থাকে। আব্দুর রহমান চল্লিশোর্ধ্ব, কোন কারনে সে এলাকায় গরুর ব্যাপারী হিসেবে পরিচিত, তাকে সবাই আব্দুর রহমান বেপারী ডাকে, তবে লোকে তাকে কেন গরুর ব্যাপারী ভাবে সে আজো ঠাওর করতে পারেনা, কোনদিন ঘোর লাগা এক বর্ষার রাতে সে কলিমুদ্দি ব্যাপারীর সাথে তাস খেলতে খেলতে হয়তো গরুর বেপার নিয়ে দুই একটা কথা বলছিল তাতেই কি লোক তাকে ব্যাপারী নাম দিল নাকি তা নিয়ে সে প্রায়ই ভাবে এবং ভাবতে ভাবতে কোন কুল কিনারা না করতে পেরে মাছের ট্রলার আজো কেন ফিরল না সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। আব্দুর রহমানের আসল কাজ মিয়া বাড়ির আটটা ট্রলার দেখা শোনা করা, এবং এই এলাকায় যে আর কারো দুই একটার বেশি ট্রলার সে বাড়তে দেয়না এইটা জানার কারণে মিয়া বাড়ির বড় মিয়া তাকে বেশ স্নেহ করে আর এই স্নেহ মাঝে মধ্যে বাড়

দক্ষিণ মৈশুন্ডি কিংবা ভূতের গলিতে আমরা কয়েকজন একা একা মানবেরা (5)

৫। ভাদাইম্যা মিজান শেফালিকে দূর থেকে দেখে মকবুলের মা , কাছে আসতেই বলে -‘ উদলা হয়া গেছিলা কই ? মাইয়্যা মানুস ঘোমটা ছাড়া ঘর থন বাইর হয় নিকি ?’ শেফালি বিব্রত হয় , ভুলে যায় শাশুড়ির কথা । মকবুলের মা বলে উঠে -‘ তোমার চলন বলন আরো ঠিক কর বউ , আমার পোলা সামনের বছর হজ্বে যাইব নিয়ত করছে , হাজ্বি সাবের বিবি তুমি , ঠিক কইছি না !’ শেফালি ঘাড় নেড়ে সম্মতি দেয় । আসলেই শেফালি তো এখন সাহেরা আপার বান্ধা কাজের মেয়ে না , এই বাড়ির বউ । মকবুল এই এলাকার নামিদামি মানুষদের একজন । সে প্রথম প্রথম বুঝতে পারে নাই , এখন যখন আসে পাশে যায় , প্রতিবেশিদের সাথে মিশে তখন জানতে পারে সবাই , বিশেষ করে কসাইভিটা , লালবাগ , জিঞ্জিরা এলাকার লোক মকবুলকে কত মান্য করে । কসাইভিটার প্রত্যেক ঘরে ঘরে মকবুলের কৃতজ্ঞতার জন্য দোয়া করা হয় , ঘরে ঘরে মকবুলের দেয়া কিছু না কিছু থাকে । শেফালি শুনে আর অবাক হয় , নিজেকে ভাগ্যবান ভাবে । আমি ভাদাইম্যা মিজান , সারাদিন টো টো কইরা ঘুরি দেইখা আমার এই নাম । পুরা দক্ষিণ মৈশুন্ডি আর ভূতের গলিতে আমারে সবাই চিনে এই নামে । আমার এই নামের পেছনে যদিও কোন তাৎপর্য নাই কিন্তু তারপরও লোকে ব্যাখ্য