(এইটা হইতে পারে একটা বড় গল্পের প্রথম অংশ অথবা এই গল্প এইখানেই শেষ, মুডের উপর ডিপেন্ড করবে এইটা ইলাস্টিক হবে কি হবেনা) তখনো ভোর হতে অনেক বাকি। আমার সাথের সবাই শুয়ে পড়েছে। কেউ কেউ হয়তো নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করে যাচ্ছে,সারাদিনের অনেক না বলা কথা বলে যাচ্ছে এক নিঃশ্বাসে। আমি হারিকেনের আলোটা একটু কমিয়ে আনি, সারারাতে স্বম্বল অল্প কিছু কেরোসিন। কাল সকালে কম করে হলেও বিশ-পঁচিশ মাইল এই পাহাড়ি এলাকার ঢাল বেয়ে কেউ একটু কেরোসিন নিয়ে আসবে। আমাদের দলে সবাই তরুণ, আমিও তরুণ, । দলে আমি সবার বড়। আমার এই শরীরটার বয়স এখন বিয়াল্লিশ,মনে হয়তো বাকী ছেলেদের মত উচ্ছ্বাস নেই তবে যেকোন খেলায়, ধরি সেটা ফুটবল, আমাকে ওরা এখনো হিসেব করে চলে। আমি চুপচাপ ডায়রি লিখে যাচ্ছি, আর ছেলেরা ফিসফাস করেই যাচ্ছে। আমি ওদের ঘুমিয়ে পড়তে বলে আলোটা একেবারেই কমিয়ে আনি,হাতের কাছের ধাতব বস্তুটা আরো কাছে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই। হাফিজ আমাকে সকালে ডেকে দেয়,আমি কিছুটা লজ্জা পাই। সাধারণত সবার আগে আমিই উঠি। কিছুটা দূরে দেখা যাচ্ছে পাকির ঝাঁক, আলোর তীব্রতা নেই,চারপাশটা কুয়াশার চাদরে ঢাকা। আমরা হাত পা ঝাড়া দিয়ে এগুই। সবাই ক্লান্ত তবু থামতে জা...